,

বানিয়াচংয়ে কাজে আসছে না তিনটি সেতু ॥ সাঁকোয় চলাচল ২০ গ্রামবাসীর

বানিয়াচং প্রতিনিধি : বানিয়াচং উপজেলার শিবপাশা-মুরাদপুর সড়কটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এখান দিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করে মুরাদপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরেও এ সড়কে লাগেনি পিচ-ইট-পাথরের ছোঁয়া। এছাড়া কাঁচা সড়কটির বেঙ্গাউড়িয়া, দরগাহবাড়ি ও তালিবপুর রহমতপুরে নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি সেতু। তবে তা জনগণের কোনো কাজে আসছে না। উল্টো মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে ব্রিজের নিচে স্থানীয় বাসিন্দাদের টাকায় তৈরি করা হয়েছে কাঠের সেতু। এখান দিয়ে চলাচলকারীরা মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে।
জানা যায়, ভাটি অঞ্চল খ্যাত বানিয়াচং উপজেলার শিবপাশা-মুরাদপুর টু বিথঙ্গল সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। বৃষ্টি হলেই এখান দিয়ে চলাচল করা যায় না। বর্ষা মৌসুমে সড়কটি থাকে পানির নিচে।
চলাচলকারীরা জানান, সড়কটি দিয়ে মুরাদপুর, শাহজালালপুর, তালিবপুর, রহমতপুর, মাখনিয়া, মর্দনপুর, গানপুর, পাহারপুড়, মির্জাপুর, বিথঙ্গল, মাটিকাটা, ভবানীপুর, রায়পুরসহ ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। জেলা শহর থেকে শিবপাশা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। অজ্ঞাত কারণে শিবপাশা থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
মুরাদপুর গ্রামের সামছুজ্জামান চৌধুরী জানান, সারা দেশে রাস্তা-ঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা কেন অবহেলিত তা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু বৃষ্টি হলেই তা বন্ধ হয়ে যায়। তখন হেঁটেই চলাচল করতে হয়।
রায়পুর গ্রামের মোবাশ্বির আহমেদ জানান, আমাদের পাশের জেলায় ওভারব্রিজ হচ্ছে। আমাদের এলাকার সড়কে ইট-পাথর দেওয়া তো দূরের কথা, মাটিও পড়ছে না। এ সড়কে লোক দেখানো তিনটি ব্রিজ করা হয়েছে। যা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, এখান দিয়ে চলাচল করতে ব্রিজের নিচে আরেকটি কাঠের সাঁকো তৈরি করতে হয়েছে।
আশিকুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, সাধারণ মানুষ কোনো রকম সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে পারলেও রোগী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
বানিয়াচং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাস জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। গত বছর ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ার পরই বন্যার পানি চলে আসে। তাই ব্রিজের গোড়ায় মাটি ফেলা যায়নি। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর